নোটিশ
পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। Test AiR ।। পরিক্ষামুলক সম্প্রচার ।। একটি নিউজ মিডিয়া হাউজের জন্য অফিস এডমিন পুরুষ-মহিলা আবশ্যক ।। কাজের বিবরণী লামিয়া রিত্রুুটিং এজেন্সীর একটি প্রতিষ্ঠান ( বিবিএন নিউজ ) জন্য কিছু স্যংখক পুরুষ - মহিলা অফিস এডমিন নিয়োগ করা হবে । সকাল ৯টা থেকে ৭ টা এইচ এসসি / স্নাতক ১) অফিস ম্যানেজ করা ২) অফিসিয়াল মেইল চেক করা/ মেইল করা / ফেইসবুক নটিফিকেশন চেক করা ৩) কাস্টমার রিলেশন করা ৪) ফোন কল রিসিভ করা ৫) নিউজে ভয়েস ওভার জানলে বিশেষ যোগ্যতা হইবে । যোগাযোগ : হেড অফ নিউজ : 01997301375 সৈৗদিতে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চান ? বাংলাদেশের জন্য রেমিটেন্স যোদ্বা হতে চান ? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র রামপুরাস্থ মেসার্স লামিয়া ওভারসীজের সাথে, ফোনে যোগাযোগ করতে 01972881111 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত, আহত, নিখোঁজ অথবা গুম ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তৈরি করা এ পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে ‌'রেড জুলাই ডট লাইভ' । এখন থেকে বিবিএন নিউজ পরিবার রেড টু জুলাই এর সাথে কাজ করবে । www.redjuly.net

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ভিন্নমুখী অবস্থান

Rakibul Islam

প্রকাশ :


জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিচ্ছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মোট ২৮টি দল নিজেদের প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

তবে সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে বড় তিন রাজনৈতিক শক্তি— বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে স্পষ্ট ভিন্নমুখী অবস্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই তিনটি দলের কেউ সনদ বাস্তবায়নে গণভোট, কেউবা গণপরিষদ গঠন চায়। অন্যদিকে এই দুটি পন্থাকে সাংবিধানিক ক্যু মনে করে বিএনপি। 

পরবর্তী সংসদে দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে বিএনপি 

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে কমিশনে তিন পৃষ্ঠার মতামত দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত মতামতে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে সেটি বিপ্লব না বরং ‘ক্যু’ হিসেবে গণ্য হয়। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে বিএনপি। 

বিএনপির সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবগুলো আগামীতে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন চায় বলে মতামত দিয়েছে। 

বিএনপির তিন পৃষ্ঠার মতামতের প্রথম দুটোতে জুলাই সনদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের একাধিক উদ্ধৃতি দিয়ে সেটার স্বপক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে। পাশাপাশি বলা হয়, কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বাস্তবায়নের প্রশ্নে সনদের স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা/পন্থার কথ া ব্যক্ত করছে। সেগুলোকে সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে বিএনপি। 

জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়ায় বলা হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপি বলছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়নি। খসড়ায় আট দফার অঙ্গীকারনামায় জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে সেটিকে আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে। 

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনো দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে দলটি।
 
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট তিনটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেগুলোর স্বপক্ষে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি হিসেবে মতামতে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই সনদ অনুযায়ী আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশ কিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট বাকি অংশ পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।’ 

বিএনপি তাদের মতামতে আরও উল্লেখ করে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত। তারা প্রধান উপদেষ্টার বাস্তবায়ন কৌশলকে সমর্থন করে। বাইরে যাওয়ার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।

বিএনপির মতে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জুলাই সনদ তিন ধাপের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো— বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের ‘আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো’ বাস্তবায়ন করবে, জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশ কিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। 

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক সুপারিশ বাদে অন্যান্য আশু করণীয় সুপারিশগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাস্তবায়ন করবে। যার জন্য প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোনো বৈধ পন্থা/কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে সরকার। আশু করণীয় নয়, এমন সুপারিশগুলো যথাসম্ভব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সরকার শুরু করবে। 

তৃতীয় প্রস্তাবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। রাজনৈতিক দলসমূহ জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। 

এছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধনী সম্পর্কিত সুপারিশ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত না হওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে দলগুলো জাতির কাছে এ বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।

গণভোট চায় জামায়াত ইসলামী

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে মতামতের ড্রাফট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দলটি তাদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবে। 

সংবিধানের ৭/১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অথবা রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে অবস্থান জামায়াতের।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জামায়াত গণভোটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ 

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাব এনসিপির

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রূপরেখা নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে। দলটি প্রস্তাব করেছে যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সর্বোত্তম ও গণতান্ত্রিক উপায় হবে একটি গণপরিষদ (Constituent Assembly) গঠন করা।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন স্বাক্ষরিত ১ পৃষ্ঠার মতামতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা মনে করি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সর্বোত্তম ও গণতান্ত্রিক উপায় হবে একটি গণপরিষদ গঠন করা।

দলটির পক্ষে থেকে দেওয়া মতামত আরও বলা হয়, জুলাই সনদ জনগণের সর্বজনীন অভিমত প্রতিফলন করে। তাই এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হওয়া জরুরি।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি গণপরিষদে জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব থাকবে, যা সাংবিধানিক কাঠামো প্রদান করবে। একই সঙ্গে এ প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি সুদৃঢ় করবে এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংকট বা বৈধতা-সংকট এড়াতে সহায়ক হবে।

এনসিপি আশা প্রকাশ করেছে যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় গণপরিষদ গঠনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করবে।

আগামী সপ্তাহে দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে চূড়ান্ত জুলাই সনদ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পর্যালোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ একসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। 

কমিশন সনদের ভাষাগত যথার্থতাও পুনর্মূল্যায়ন করছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির প্রেক্ষিতে কিছু প্রস্তাব সংশোধন করছে। 

ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চূড়ান্ত জুলাই সনদ পাঠানো হবে। এরপর আর কোনো মতামত নেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সনদ বাস্তবায়নে রূপরেখা আলাদা হবে। সেটি সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। এটি রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হবে না। 

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত